সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজ কক্সবাজারবাসীর জন্য একটি আনন্দের দিন, এখানে রেল যোগাযোগ স্থাপন হলো।

শনিবার (১১ নভেম্বর) চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেল যোগাযোগের উদ্বোধন শেষে রেলস্টেশনে এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করা করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কক্সবাজার এমন একটি সমুদ্র সৈকত যা বিশ্বে বিরল।

৮০ মাইল লম্বা বিশ্বের সব থেকে দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত এটি। পৃথিবীতে এমন দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, বালুকাময় সমুদ্র সৈকত আর কোথাও নেই। এটি হচ্ছে একমাত্র কক্সবাজারে। এখানে রেল সংযোগ করতে পেরে সত্যিই আমি খুব আনন্দিত।

বর্তমান সরকারের সময় রেলকে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয় তুলে ধরে বিশ্ব ব্যাংকের একটি প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু করে দিচ্ছি। এখানে একটা মজার ব্যাপার আছে, না বলে পারছি না। ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় এসে যখন যমুনা নদীর ওপর সেতু করি এই সেতুর মূল নকশায় রেললাইন ছিল না। তখন আমি সিদ্ধান্ত নিই, এর সঙ্গে রেললাইন থাকতে হবে। তখনো বিশ্ব ব্যাংক বাধা দিয়েছিল। বলেছিল ভায়াবল হবে না, আমি বলেছিলাম ভায়াবল হবে। আমরা বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে সেতু সংযোজন করি। মজার বিষয় হলো, যখন দেখল যে এটা খুবই ভায়াবল, তখন সেই বিশ্ব ব্যাংকই টাকা দিল আলাদা ডেডিকেটেড রেল সেতু করার জন্য।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার দেশ আমার চিন্তা, কী করলে দেশের মানুষের মঙ্গল হবে, সেভাবে কাজ করব। ওই দুই-একজন বাইরের থেকে এসে আমাদের ওপর খবরদারি করবে, অনেকে পরামর্শ দেবে সেটা আর হবে না। আজ তাদেরই অর্থে আমরা যমুনা নদীর ওপর রেল সেতু করে দিচ্ছি।

এ সুধী সমাবেশে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ