বুধবার, মে ১৫, ২০২৪
প্রচ্ছদইন্টারভিউঘোষণা থেকে সরে যাচ্ছেন দেশের ছোট রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা!

ঘোষণা থেকে সরে যাচ্ছেন দেশের ছোট রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা!

ষ্টাফ  রিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে ১৮ দলীয় জোটের কয়েকটি ছোট শরীক দল। জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে যে নতুন জোট হচ্ছে সেখানে তারা যোগ দিতে পারে বলে জানা গেছে। ভেতরে ভেতরে সরকারের পক্ষ থেকে ঐসব দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির কয়েকজন সিনিয়র নেতা।

এছাড়া বিএনপি নির্বাচনে না আসলে দলটির সিনিয়র নেতারাসহ প্রতিটি আসনে যাতে বিএনপির নেতারা নির্বাচনে অংশ নেয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতেও সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন,আওয়ামী লীগের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে আনা। প্রথম পদক্ষেপে আওয়ামী লীগ সেটি করতে সক্ষম হয়েছে। এখন আগামী নির্বাচন যাতে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সেজন্য ১৮ দলীয় জোটের ছোট ছোট কয়েকটি দল এবং জামায়াত বিরোধী কয়েকটি ইসলামী দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।
শেষ পর্যন্ত বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে ছোট ছোট দলকে নিয়ে এরশাদের জাতীয় পার্টি যাতে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে কাজ করা হচ্ছে। জাতীয় পার্টিও নিজ উদ্যোগে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। এসব ছোট ছোট দলকে সর্বদলীয় সরকারে কিভাবে রাখা যায় এবং তাদের কি সুযোগ সুবিধা দেওয়া যায় সে বিষয়েও সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সোমবার জাতীয় সংসদে দেয়া বক্তব্যেও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন,১৮ দলীয় জোটের কয়েকটি ছোট দল সর্বদলীয় সরকারে যোগ দেবে।
ভেতরে ভেতরে ঐ ছোট ছোট দল সর্বদলীয় সরকারে যোগ দেওয়ার বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানা গেছে। যে কোনো সময় তারা সর্বদলীয় সরকারে যোগ দেওয়ার বিষয়ে ঘোষণা দিতে পারে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে,বিকল্পধারার সভাপতি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডির) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল অলি আহমেদ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, খেলাফত মজলিশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, কল্যাণ পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), বাংলাদেশ ন্যাপ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ইসলামিক পার্টি, ন্যাপ ভাসানী, ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল) ও পিপলস লীগের নেতাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতারা যোগাযোগ করেছে। এছাড়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকির সঙ্গেও কয়েক বার যোগাযোগ করা হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
 নাম না প্রকাশের শর্তে এলডিপির এক সিনিয়র নেতা জানিয়েছেন, সর্বদলীয় সরকারে যোগ দেওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। নেতাদের অধিকাংশই সর্বদলীয় সরকারে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে অলি আহমেদ এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।
এর আগে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করলেও সোমবার এইচ এম এরশাদ সংবাদ সম্মেলন করে মহাজোট থেকে বেরিয়ে সর্বদলীয় সরকারে যোগদেয়ার ঘোষণা দেয়। এছাড়া নতুন জোট করে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বলেছে এরশাদ। কিন্তু নতুন জোটে করা থাকছে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি এরশাদ। গত ১৩ নভেম্বর সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর রাজধানীর বারিধারার বাসায় নতুন জোট করার বিষয়ে জাতীয় পার্টিসহ চার দলের নেতাদের বৈঠক হয়।
ঐ বৈঠকে এরশাদ ছাড়াও বি. চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ছিলেন। এর পর দিনই সংবাদ সম্মেলন করে নতুন জোট গঠনের কথা বলেন এরশাদ। বিকল্পধারা,এলডিপি, জেএসডিসহ আরো কয়েকটি দল মিলে নতুন জোট গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরই এরশাদ মহাজোট ছাড়ার ঘোষণা দেন বলে জানা গেছে।
এদিকে গত ১৩ নভেম্বর এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল অলি আহমেদের রাজধানীর মহাখালীর ডিওএইচএসের বাসায় যান বন ও পরিবেশ মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি অলির সঙ্গে সাক্ষাত করে ‘নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারে’ যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন

সর্বশেষ