শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনপতেঙ্গায় তৈরি হচ্ছে বন্দরের নতুন ছয় লাইটার জেটি

পতেঙ্গায় তৈরি হচ্ছে বন্দরের নতুন ছয় লাইটার জেটি

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন পূর্ব পতেঙ্গা মৌজায় ইনকনট্রেড লিমিটেড নামে ডিপোর পেছনে তৈরি হচ্ছে ছয়টি নতুন লাইটার জেটি। যার মাধ্যমে বছরে অন্তত ৩৫ কোটি টাকা আয় হবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

ইতিমধ্যে ওই জায়গায় লাইটার জেটির পণ্য সংরক্ষণের জন্য টার্মিনাল তৈরি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ছয়টির মধ্যে ৫ ও ৬ নম্বর লাইটার জেটি দুটি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে বছরে ৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা পরিশোধের শর্তে একটি জেটি পেয়েছে এন মোহাম্মদ গ্রুপ এবং অন্যটি বছরে ৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা পরিশোধের শর্তে পেয়েছে লৌহ শিল্প প্রতিষ্ঠান জিপিএইচ ইস্পাত।

বর্তমানে ১ থেকে ৪ নম্বর লাইটার জেটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে চুক্তি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য দেওয়া দরপত্র মূল্যায়ন পর্যায়ে আছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ওই চার লাইটার জেটি পেতে ১২টি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করে দরপত্র জমা দিয়েছে। তাদের মধ্যে চার প্রতিষ্ঠাকে দেওয়া হবে লাইটার জেটির লাইসেন্স।  নবায়নযোগ্য এই লাইসেন্সের মাধ্যমে ১০ বছরের জন্য লাইটার জেটি ব্যবহারের সুযোগ পাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব জেটিতে লাইটার জাহাজে করে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আমদানিকৃত কার্গো পণ্য এনে খালাস করতে পারবে এবং টার্মিনালে সংরক্ষণও করতে পারবে। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর আমদানিকৃত কাঁচামাল খালাসে কাজ আরো দ্রুত হবে। বন্দর সূত্র জানায়, মোট ১৩ একর জায়গায় তৈরি হচ্ছে ওই ৬ লাইটার জেটি। যার প্রতিটি প্রায় ২ দশমিক ০৫ একর জায়গা রয়েছে। এছাড়া নদীমুখে প্রতিষ্ঠানগুলো পাচ্ছে ৭১ মিটার জায়গা। সেখানে পন্টুন স্থাপন করে জাহাজের পণ্য খলাস করবে প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে পণ্য খালাস করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করতে হবে প্রতিষ্ঠানগুলোকেই।

প্রসঙ্গত, ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের আওতায় ২০১৩ সালে কর্ণফুলী নদীর সদরঘাটে পাঁচটি লাইটার জেটি নির্মাণ করেছিল বন্দর। সে সময় প্রকল্পের ঠিকাদার কাজ শেষ করতে না পারায় বন্দর চুক্তি বাতিল করে। পরে ২০১৮ সালে আবার খননকাজ শুরু হয়। বন্দরও পাঁচটি জেটি দরপত্রের মাধ্যমে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেয়। পরে জেটির সামনে জাহাজ ভেড়ানোর উপযোগী খননকাজ করে বন্দর। ২০১৮ সালের মে মাসে খাদ্যশস্যের জন্য বিএসএম গ্রুপ, লৌহ ও ইস্পাত খাতে বিএসআরএম, কেএসআরএম ও আবুল খায়েরকে এবং সিমেন্ট শিল্পে কনফিডেন্সকে দরপত্রের মাধ্যমে বরাদ্দ দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ