সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদআরো খবর......হংকং-এ শেখ রাসেল-এর ৬০তম জন্মদিন এবং শেখ রাসেল দিবস উদ্‌যাপন

হংকং-এ শেখ রাসেল-এর ৬০তম জন্মদিন এবং শেখ রাসেল দিবস উদ্‌যাপন

স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল-এঁর ৬০তম জন্মদিন এবং “শেখ রাসেল দিবস ২০২৩” যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ কন্‌স্যুলেট জেনারেল, হংকং কর্তৃক আজ ১৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে কন্‌স্যুলেট প্রাঙ্গনে উদ্‌যাপন করা হয়েছে।  জনাব জাহিদুর রহমান, কনসাল (শ্রম)-এর সঞ্চালনায় কনসাল জেনারেল মিজ্‌ ইসরাত আরা, কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী, তাঁদের পরিবার, হংকংস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশী শিশু-কিশোরসহ হংকং-এর স্থানীয় শিশুরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পবিত্র কোরআন হতে তেলাওয়াত ও গীতা পাঠ-এর মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। এরপর কনসাল জেনারেল, মিজ্‌ ইসরাত আরা, কন্‌স্যুলেট এর পক্ষ থেকে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। শেখ রাসেলের উপর নির্মিত একটি প্রামান্যচিত্র এরপর প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ শেখ রাসেল-এঁর স্মরণে বক্তব্য প্রদান করেন।

মান্যবর কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে উপস্থিত সবাইকে শহিদ শেখ রাসেল এর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, শেখ রাসেল-এঁর মত একজন সদাহাস্যোজ্জল, কোমলমতি ও প্রাণচঞ্চল শিশুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কাল রাতে ঘাতকেরা নির্মমভাবে হত্যা করে যা ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম ও নিষ্ঠুর ঘটনা। তিনি আশা ব্যক্ত করেন পৃথিবীতে আর কোথাও যেন এরকম ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড না ঘটে। তিনি স্বাধিকার আন্দোলনসহ বাংলাদেশের ইতিহাসের সকল উল্লেখযোগ্য ঘটনায় বঙ্গবন্ধুর পরিবারের আত্মত্যাগ কথা স্মরণ করেন। শিশু রাসেল এর সহজ-সরল জীবনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ রাসেল  আজ বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধুর একজন যোগ্য উত্তরসূরী হতেন। উপস্থিত সবাইকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখি, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেত্বৃত্বে চলমান উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে নিজ-নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে তিনি আহবান জানান।

পরবর্তিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ রাসেল এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদ অন্যান্য সদস্যবৃন্দের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। উল্লেখ্য, দিবসটি উপলক্ষ্যে গত ১৫ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন, সাধারন জ্ঞান ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। উক্ত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরন ও সকল প্রতিযোগীকে সনদপত্র প্রদান করা হয়। এরপর শিশু-কিশোরদের নিয়ে কেক কাটা হয়। ছোটদের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। আগত অতিথিদেরকে আপ্যায়ন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়। উল্লেখ্য, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক কনস্যুলেট কর্তৃক আগামী ২০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ, শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে একটি সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ