রপ্তানিকারকের রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) হিসাবে জমাকৃত বৈদেশিক মুদ্রার ৫০ শতাংশ নগদায়নের যে নির্দেশনা দিয়েছিল, তা বহাল রাখল বাংলাদেশ ব্যাংক। রপ্তানিকারকরা রপ্তানি পণ্য ও সেবার বিপরীতে রপ্তানি আয় থেকে পাওয়া আয়ের একটি নির্দিষ্ট অংশ ইআরকিউ হিসাবে জমা রাখতে পারে। রপ্তানিকৃত পণ্যে মূল্য সংযোজনের হার অনুযায়ী রপ্তানি আয়ের ১৫ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত জমা রাখার সুযোগ আছে এ হিসাবে। তবে প্রযুক্তি খাতে এ হার শতকরা ৭০ শতাংশ।
গত ২০২২ সালের জুলাই মাসে এক সার্কুলার দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল, জমার হার বিদ্যমান হার থেকে ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে হবে প্রতিটি খাতে। গত ২০২২ সালের ডিসেম্বর সময়ের মধ্যে তা নামিয়ে আনার বাধ্যবাধকতা ছিল।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) নতুন সার্কুলার দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, রিটেশন কোটা হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রা জমার হার ১৫ শতাংশের স্থলে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, ৬০ শতাংশের পরিবর্তে ৩০ শতাংশ এবং ৭০ শতাংশের বদলে ৩৫ শতাংশ হবে। অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা কার্যকর করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।