মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
প্রচ্ছদখেলার সময়সালাউদ্দিনসহ বাফুফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের

সালাউদ্দিনসহ বাফুফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের

সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির পক্ষে করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার (১৫ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল সহ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

গতকাল রিট করে সায়েদুল হক সুমন বলেন, ফিফা নিয়েছে প্রশাসনিক ব্যবস্থা। কিন্তু এটা ফৌজদারি এক্টিভিটিস। এজন্য অনুসন্ধান চেয়ে রিট করেছি। এর আগে তিনি গত ৩ এপ্রিল দুদকে আবেদন করেছিলেন।

গত ১৪ মে আর্থিক অনিয়ম এবং কাগজ জালিয়াতির দায়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা দুই বছরের জন্য সব ধরনের কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করে। এ ছাড়া বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে তাকে।

আবু নাঈম সোহাগের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, ফিফার দেওয়া অর্থ বাফুফের খরচ দেখাতে তিনি ভুল ডকুমেন্ট দেখিয়েছেন।  ফিফা শুনানি ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেই এই শাস্তি দিয়েছে বলে তাদের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

সোহাগের বিরুদ্ধে সাধারণ আর্টিকেল ১৫ (দায়িত্বে অবহেলা), ১৫ (সততা) ও ২৪ (মিথ্যা তথ্য দেওয়া) ভঙ্গের অভিযোগ দেখিয়েছে তারা। এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে আবু নাঈম সোহাগকেও। অনুলিপি পাঠানো হয়েছে বাফুফে ও এএফসিতে।

এরপর ১৭ এপ্রিল ইমরান হোসেন তুষারকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে সোহাগকে আজীবনের নিষিদ্ধ করে বাফুফে। ওইদিন জরুরি সভা শেষে এই তথ্য জানায় দেশের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এদিকে গত ৩ মে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্তের দাবি জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন করেন ব্যরিস্টার সুমন। ১১ দিন পর এসে এবার তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন।

আবেদনে বাফুফে সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও আবু নাঈম সোহাগের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাতের অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা বা নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বাফুফের কর্তাদের দুর্নীতি, অর্থ পাচার, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। বিবাদীরা হচ্ছেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুদকের চেয়ারম্যান, বিএফআইইউ প্রধান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ বাফুফের কর্তা-ব্যক্তিরা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ