কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ স্থাপন প্রকল্পে অনিয়মে জড়িতরা অবসরে গেলেও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রকল্পের ক্ষেত্রে অনিয়মে জড়িতরা অবসরে গেলেও পার পাবেন না। ৫ অক্টোবর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী একথা জানান। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের কাজ শেষ করতে চূড়ান্ত ভাবে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। যারা এই প্রকল্পের বিলম্বের ক্ষেত্রে জড়িত তাদের শাস্তির ব্যবস্থা দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি একইসঙ্গে কাজও চলমান রাখতে বলেছেন।
জানা যায়, সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে মোট ২৭৫ কোটি ৪৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়নের জন্য ২০১২ সালের ৬ মার্চ একনেকে অনুমোদিত হয়েছিল প্রকল্পটি। এরপর দফায় দফায় মেয়াদ ও ব্যয় বাড়লেও প্রকল্পের কাজ এখনও শেষ হয়নি।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুধু কারখানার ভেতরে করলে চলবে না। কারখানা এলাকায় ইটিপি স্থাপন করতে হবে। এছাড়া কোনো প্রকল্পে বৈদেশিক সহায়তা না পেলে রির্জাভ থেকেও ঋণ নেওয়া যেতে পারে। তবে সেই ঋণ পরিশোধ করতে হবে রির্জাভ থেকে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের সব এলাকায় সমান ভাবে উন্নয়ন কাজ করতে হবে। যাতে কোনো এলাকা অভিযোগ করতে না পারে আমরা অবহেলিত।’ এছাড়া নদী, খাল নিয়মিত ড্রেজিংয়ের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, একনেক বৈঠকে সোনালী ৭৫ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে কমিশনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। পাশাপাশি জাতিসংঘের এসডিজি পুরস্কার পাওয়ায় তাকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
একনেকে অনুমোদন পাওয়া ৯টি প্রকল্পগুলো হলো-
৩। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন, কুষ্টিয়া (দ্বিতীয় সংশোধিত)।
৬। রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার নদীতীর সংরক্ষণ, ছোট নদী, খাল-বিল পুনঃখনন ও জলাবদ্ধতা নিরসন।
৭। শরীয়তপুর জেলার কীর্তিনাশা নদীর ডান ও বাম তীর রক্ষা।
৮। বড়পুকুরিয়া-বগুড়া-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি লাইন (প্রথম সংশোধিত)।
৯। খুলনা হতে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত)।