চট্টগ্রামের পটিয়ায় কোনভাবেই ক্রেতা বিক্রেতা কাউকে দমিয়ে রাখা যাচ্ছেনা ঈদের কেনাকাটায়। একদিকে পুলিশের সাথে লুকোচুরি অন্যদিকে নতুন নতুন ফর্মুলা আবিষ্কার করে চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসা। এর জন্য যতটা না দোকানী দায়ী তার চেয়ে বেশী অপরাধী ক্রেতা সাধারণ।
চট্টগ্রামের পটিয়ার স্বাস্থ্য বিধি না মেনে প্রতিনিয়ত প্রসাশনের সাথে লুকোচুরি করে ব্যবসা করে পটিয়া একদল কতিপয় ব্যবসায়ী। কেউ গভীর রাতে কেউ ভোরে আবার কেউ ফোনে কন্ট্রাক করে দোকান খুলে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
পটিয়ার দোকান মালিক প্রথমে দোকান বন্ধ রাখার ঘোষনা দিলে তর্ক বির্তকের জেরে আবারও দোকান চালু করেন ব্যাবসায়ীরা। কিন্তু পটিয়ায় করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেলে প্রশাসনের সাথে ব্যবসায়ীদের বৈঠকে সিন্ধান্ত হয় দোকান বন্ধ রাখার। কিন্তু অতিরিক্ত কাস্টমারের চাপ দেখে বেশী লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা নানা কৌশলে দোকান খুলে ব্যবসা করে যাচ্ছেন।
দোকানের দরজা বন্ধ থাকলেও ভিতরে কাস্টমার বসিয়ে দেদারসে চলে বেচাকেনা। খবর পেয়ে প্রশাসন অভিযান চালালে চলে চোর-পুলিশ খেলা। পুলিশ দেখলে তড়িগড়ি দোকানে তালা দিয়ে দূরে সরে যান বাইরে দায়িত্বরত কর্মচারীরা। পুলিশ চলে গেলে আবারও যথারীতি চলে ব্যবসা।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা জাহান উপমা মঙ্গলবার ভোর ৫টার সময় ছদ্মবেশে গিয়ে দেখেন দিনের মত বাহিরে দরজা বন্ধ রেখে পুরো দোকান ভর্তি মানুষ কেনাকাটা করছে পরে ঐ দোকানকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা এবং মুচলেকা দিয়ে দোকান বন্ধ করে দেন।
এদিকে সদরে একের পর এক অভিযান এবং পুলিশী কড়াকড়ির ফলে দোকানদাররা সদর ছেড়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অস্থায়ী দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা চালু করেছেন। ব্যবসায়ীদের এমন লোভী মানসিকতার কারণে কোনভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছেনা করোনা সংক্রমণের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এ খাতকে।
সদর ছেড়ে গ্রামে দোকান খোলা রাখার খবর পেয়ে বুধবার সকাল থেকে দিনব্যাপী জনস্বার্থে অভিযান পরিচালনা করেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা জাহান উপমা। উপজেলার ছনহরা, দক্ষিণ ছনহরা, মুরালীঘাট বাজার, দক্ষিন বাথুয়া, আশিয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় ভাসমান দোকান বসিয়ে জনসমাগম করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দোকান খোলা রেখে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় করার অপরাধে ৪ দোকানের মালিককে ১২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয় এবং ভাসমান দোকানগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়।
এই বিষয়ে ইউএনও বলেন, জনগণের স্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।