মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়নুসরাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আপাতত সিঙ্গাপুরে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না

নুসরাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আপাতত সিঙ্গাপুরে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না

ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আপাতত সিঙ্গাপুরে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। নুসরাতের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ। পাঁচ ঘণ্টা সময় ব্যয় করে নুসরাতের মতো রোগীকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া ঝুঁকির। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল হলে তখন তাঁকে সিঙ্গাপুর নেওয়া যেতে পারে বলে মত দিয়েছে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান নুসরাতের চিকিৎসার বিষয়ে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় নুসরাতের শারীরিক অবস্থা নিয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা।

ডা. সামন্তলাল সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সকাল ৯টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছি মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতের সম্পর্কে। আমরা নুসরাতের সব চিকিৎসা-সংক্রান্ত ডকুমেন্ট আদান-প্রদান করেছি। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক তা দেখে আপাতত নুসরাতকে সিঙ্গাপুরে নেওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ বলে মত দিয়েছেন।  তাঁরা আমাদের বলেছেন, নুসরাতকে এ অবস্থায় দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টার বিমানযাত্রা খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। এ জন্য এখন তাঁকে সিঙ্গাপুর পাঠানো ঠিক হবে না। একটু স্ট্যাবল (স্থিতিশীল) হোক, তখন এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ডা. সামন্তলাল আরো বলেন, সিঙ্গাপুর হাসপাতালের চিকিৎসকরা নুসরাতের জন্য নতুন কিছু চিকিৎসা-সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা পরামর্শগুলো চিকিৎসা ব্যবস্থায় যোগ করব। কিছু পরীক্ষাও দিয়েছে। কিছুক্ষণ পর নুসরাতকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হবে ড্রেসিং করার জন্য। বিকেলে আবার সিঙ্গাপুর হাসপাতালের সঙ্গে কথা হবে। আমরা বিষয়টি ওর বাবা-মাকেও বুঝিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, ‘আগামী ১৭ এপ্রিল সিঙ্গাপুর হাসপাতালের চিকিৎসকরা পাঁচ দিনের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসবেন। নুসরাত যদি ততদিন স্টে করে, তাহলে তাঁরা তাঁকেও দেখবেন। গত ৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাদ্রাসা ভবনের ছাদে দুর্বৃত্তরা তাঁর গায়ে আগুন দেয়। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফেনী সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

পরিবারের অভিযোগ, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজউদ্দৌলা গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহানের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। নুসরাত বিষয়টি বাসায় জানালে তাঁদের মা সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোনাগাজী থানা পুলিশ অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে গ্রেপ্তার করে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ